বাংলার বারভূঁইয়া কারা ছিলেন?
অথবা, বাংলার বারো ভূঁইয়াদের পরিচয় তুলে ধর।
উত্তর: বাংলার ইতিহাসে বারভূইয়াদের নাম বিশেষভাবে উল্লেখ আছে। সপ্তদশ শতাব্দীতে তাদের কার্যকলাপে বাংলার ইতিহাস সমৃদ্ধ হয়েছিল। বাংলার বারভূঁইয়ার কাহিনি দেশাত্মবোধক উদাহরণস্বরূপ স্বীকৃতি পেয়েছিল বটে, কিন্তু আধুনিক ঐতিহাসিকগণ বারভূঁইয়ারা মুঘল আক্রমণের বিরুদ্ধে দেশ ও দশের রক্ষক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন একথা স্বীকার করেন না। তারা সবাই ছিলেন ভূঁইফোড় জমিদার, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
বারভূঁইয়া কারা: ষোড়শ শতকের মধ্যবর্তী কাল হতে সপ্তদশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে বাংলার ইতিহাসে বার ভূঁইয়াদের আবির্ভাব লক্ষ করা যায়। মুঘলদের বিরুদ্ধে যেসব জমিদার নিজেদের স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছেন, ঐতিহাসিকদের দৃষ্টিতে তারাই ভূঁইয়া। বারভূঁইয়া অর্থ বার জন প্রধান জমিদার। বাংলায় তখন অনেক বড় বড় জমিদার ছিলেন। মুঘলদের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য যেসব হিন্দু ও মুসলমান জমিদারদের সংগ্রাম বাংলার ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে তাদের মধ্যে ঈশা খাঁ, মুসা খাঁ, চাঁদ রায় ও কেদার রায়, প্রতাপাদিত্য, কন্দর্পনারায়ণ ও রামচন্দ্র, বাহাদুর গাজী, সোনা গাজী, ওসমান খান, ছত্রজিৎ ও অনন্ত মাণিক্যের নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এরা সকলেই 'বারভূঁইয়া' নামে পরিচিত।
নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url